Main Menu

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে যত জটিলতা

দুই পক্ষই তৈরি তাদের প্রার্থী নিয়ে। ডেমোক্রেটদের ভরসা এর আগে দুবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করা জো বাইডেন আর রিপাবলিকানরা আস্থা রাখছেন তাদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরেই। আসছে নভেম্বরে নির্ধারিত হবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি কে হচ্ছেন। কে জিতবেন সে বিতর্কে যাওয়ার আগে জেনে নিন ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে।

মার্কিন নির্বাচন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুসরণ করে, যেখানে একজন প্রার্থীকে কেবল ভক্তদের মন জয় করলেই হয় না, সেই সঙ্গে পার করতে হয় এক জটিল প্রক্রিয়া। ইলেক্টোরাল কলেজ নামে সেই জটিলতায় আটকে গিয়ে পাবলিক ভোট বেশি হলেও হার মানতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হিলারি ক্লিনটন। চার বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন হিলারি। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছিল দেশটির ইলেক্টোরাল কলেজপদ্ধতি। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই একটি পদের ওপরেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় বিশ্বের অনেক দেশ। শুধু রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাটদের জয়-পরাজয় শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নীতি, বৈশ্বিক ব্যবসা থেকে আন্তর্জাতিক জোটের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রভাব রাখতে সক্ষম। রিপাবলিকান প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার আগেই শেষ করেছেন ঐতিহাসিক প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের প্রথম পর্ব। এবার শেষ হলো দ্বিতীয় পর্বও।

প্রতীকের ইতিহাস

যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান দল, ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান দল। ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রতীক গাধা আর রিপাবলিকান দলের নির্বাচনী প্রতীক হাতি। শত শত বছর ধরে চলমান এই প্রতীক নির্ধারণের পেছনেও আছে মজার এক গল্প।

যুক্তরাষ্ট্রের শুরুর দিনগুলোতে আলোচনা বা সমালোচনায় আলোচ্য বিষয় ছিল রাজনৈতিক কার্টুন। কার্টুনের মাধ্যমে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক দুই ধরনের মনোভাবই প্রকাশ করতেন মার্কিন নাগরিকরা। সিভিল ওয়ারের সময়েও মার্কিনিদের মধ্যে কার্টুনপ্রীতি দেখা গিয়েছিল। কার্টুনের মাধ্যমেই নিজেদের মত প্রকাশ করত বিভিন্ন সংস্থা। কার্টুনে গাধা যেমন হতে পারে কষ্ট-সহিষ্ণুতার প্রতীক, আবার হাস্যরস বা বোকার উদাহরণ হিসেবেও টেনে আনা হয় গাধাকে। অন্যদিকে হাতিকে মহানুভবতার প্রতীক ধরা হয়, প্রেক্ষাপট বদলে আবার সেই হাতিই হয়ে যায় বোকা বা খারাপ কিছু।

যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। সেই সময় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানরা তাকে ব্যঙ্গ করে নাম দেয় গাধা। ব্যঙ্গ করা হলেও প্রেসিডেন্ট জ্যাকসনের সেটিই পছন্দ হয়। তাৎক্ষণিক ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রতীক বদলে গাধাকে বেছে নেন তিনি। আবার সে সময়ই বেশ কিছু ডেমোক্র্যাটভক্ত রিপাবলিকান দলকে উদ্দেশ করে একটি কার্টুন এঁকে প্রচার করতে শুরু করে। যেখানে রিপাবলিকানদের হাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। তার পরপরই রিপাবলিকান দলও নিজেদের জন্য বেছে নেয় হাতিকে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দুদলের নির্বাচনী প্রতীক বদল হয়নি। নিজেদের বিশাল তিক্ততার ইতিহাসে সম্ভবত এই একবারই একে অন্যের দেওয়া জিনিস পছন্দ করেছিল দল দুটি।

 কোন দলের কী নীতি

আধুনিক উদারনীতির আদর্শে বিশ্বাসী ডেমোক্র্যাট পার্টি। তাদের মতাদর্শে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা, সামাজিক কর্মসূচি, পরিবেশ সংরক্ষণনীতি এবং শ্রমিক ইউনিয়নে বিশ্বাস স্থান পেয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী ডেমোক্র্যাটদের একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা লক্ষ করা যায়। ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্টদের সারা বিশ্বে আলাদা একটি জনপ্রিয়তা লক্ষ করা যায়। ডেমোক্র্যাটদের হয়ে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা।

অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টি আমেরিকান রক্ষণশীলতার প্রচার করে থাকে। যেমন সীমিত সরকারি নিয়ন্ত্রণ, কম কর হার, মুক্তবাজার পুঁজিবাদ, বন্দুকের অধিকার, নিয়ন্ত্রণমুক্ত শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অভিবাসন ও গর্ভপাতের মতো ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতার প্রতি তাদের আগ্রহ সর্বদা লক্ষ করা যায়। বিশ্বে মার্কিনিদের সামরিক আগ্রাসনের বেশির ভাগই রিপাবলিকানদের মাধ্যমেই প্রসারিত হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকানদের প্রতিনিধি।

প্রাইমারি কী

যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেবল দুটি দলই মূলত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্ধারণ করে, তাই নির্বাচনের আগে বেশ বড় একটা সময় ব্যয় হয় মূল প্রার্থী নির্ধারণ করতে। চলতি নির্বাচনে আপাতদৃষ্টিতে রিপাবলিকানদের মধ্যে প্রাইমারি হয়নি, যেহেতু বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও একবার প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের প্রাইমারিতে বার্নি স্যান্ডার্স এবং জো বাইডেনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছিল। কিন্তু সেই যুদ্ধে জয় পেয়েছিলেন জো বাইডেন। তিনি এর আগে বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে প্রাইমারিতে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এখানে বলে রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এই ‘প্রাইমারি’ সম্পর্কে উল্লেখ নেই। বরং পুরো ব্যাপারটি নির্ধারিত হয় দল এবং রাজ্য আইন অনুযায়ী। যেভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ঠিক সেভাবেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ ক্ষেত্রে স্টেট বা রাজ্য সরকার প্রাইমারি নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে। আর রাজ্য আইনে নির্ধারিত হয় এই প্রাইমারি রুদ্ধদ্বার কক্ষে হবে নাকি উন্মুক্ত হবে। রুদ্ধদ্বার ভোটিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু তালিকাভুক্ত ভোটাররাই ভোট দিতে সক্ষম হন। আর যদি উন্মুক্ত হয়, তবে ওই রাজ্যের যেকোনো ভোটার ভোট দিতে পারবেন। একজন প্রার্থী যদি প্রাইমারিতে বিজয়ী হন, তখন স্টেটের প্রতিনিধি বা আংশিক প্রতিনিধিরা দলের চূড়ান্ত সম্মেলনে তার পক্ষে ভোট দেবেন। পরে দলের সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলে ঘোষিত হবেন।

ইলেক্টোরাল কলেজ কী

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এই ইলেক্টোরাল কলেজের। ইলেক্টোরাল কলেজই মূলত প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে রাজ্যের পাঠানো প্রত্যেক প্রতিনিধির বিপরীতে একজন করে ইলেক্টর মনোনীত হন। ইলেক্টোরাল ভোটে ২৭০ ভোট পেলে কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। সাধারণত ইলেক্টররা নিজ দলকেই ভোট দেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে জনগণ কাকে ভোট দিয়েছেন, তার চেয়ে বড় হয়ে উঠে ইলেক্টর ব্যক্তিগতভাবে কী চাইছেন। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০০০ সালের জর্জ বুশ এবং আল গোরের মধ্যে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর সেবার পাবলিক ভোট বেশি পেলেও ইলেক্টোরাল কলেজে গিয়ে হার মানতে বাধ্য হন। একই ধরনের ফলাফলের কারণেই প্রথম নারী হিসেবে হোয়াইট হাউজে যেতে পারেননি সাবেক ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন। এ ছাড়া মাত্র ৪০ শতাংশ পাবলিক ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন।

মার্কিন কংগ্রেসে কোনো রাজ্যে থাকা প্রতিনিধির অনুপাতে নির্ধারিত হয়, সেই রাজ্যে ঠিক কত হবে ইলেক্টরের সংখ্যা। এ ছাড়া প্রত্যেক সিনেট সদস্যের বিপরীতেও একজন করে ইলেক্টর মনোনীত হন। এ কারণেই হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের প্রতি আলাদা গুরুত্ব দেয় দেশের দল দুটি। আর সে বিবেচনায় এই নির্বাচনে আপাতত এগিয়ে থাকছেন জো বাইডেন। কারণ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আপাতত ডেমোক্র্যাটদের আসনই বেশি। এসবের বাইরেও মার্কিন সিনেটে প্রত্যেক রাজ্যে দুটি সিনেট সদস্যপদ সংরক্ষিত থাকে। এ ক্ষেত্রে জনসংখ্যা ও আয়তন বিবেচনায় নেওয়া হয় না।

মার্কিন সংবিধানের ২৩তম সংশোধনী ধারায় অনুযায়ী, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য ছাড়াও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার জন্য অতিরিক্ত তিনজন ইলেক্টর নিয়োগ করা যাবে।’ এই পদ্ধতির স্বার্থেই নির্বাচনের সময় ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকেও আলাদা রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রার্থীরা নিজেদের বা তার দলের পছন্দ অনুযায়ী ইলেক্টরের মনোনয়ন দিতে পারবেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো মূলত ইলেক্টর মনোনয়ন দিলেও একজন ব্যক্তির ইলেক্টর হিসেবে মনোনয়ন লাভের ক্ষেত্রে কিছু ন্যূনতম যোগ্যতা নিয়ে প্রত্যেক রাজ্যই আলাদা শর্ত জুড়ে দেয়।

ভোট কাকে দেওয়া হচ্ছে

ভোটের দিন ব্যালট পেপারে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নাম লেখা থাকে। আর একেক রাজ্যের নিয়ম অনুসারে নির্বাচকমণ্ডলীর নাম উল্লেখ থাকতেও পারে, নাও পারে। জনগণ মূলত প্রেসিডেন্টের নামে ভোট দিয়ে সেই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মনোনীত ইলেক্টোরালকেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। পরে সেই নির্বাচকমণ্ডলী ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন জনগণের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, পাবলিক ভোট বেশি হলেও কেন আল গোর নির্বাচনে জয়ী হননি? বা সব জরিপ পক্ষে থাকার পরও কেন হিলারিকে ছাপিয়ে গেলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলেন? তবে কি ইলেক্টোরাল কলেজ দলের বাইরেও গিয়ে ভোট দিতে পারে? উত্তর, হ্যাঁ। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন অনুসারে নির্বাচকমণ্ডলী জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য নন। অর্থাৎ নির্বাচকমণ্ডলী চাইলেও দলের বাইরে গিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। এখানেও একটি ছোট্ট কিন্তু আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ২৪টি রাজ্যের আইনে এ ধরনের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। সাধারণত কোনো নির্বাচককে নিজ দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্য কাউকে ভোট দিতে দেখা যায় না। তবু দেশটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেই কোনো সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া চলে না।

লাল বনাম নীল রাজ্য

মার্কিন নির্বাচনে বলতে গেলে অল্প কিছু রাজ্যের ওপরেই পুরো ফলাফল নির্ভর করে। আগেই জেনে নেওয়া দরকার, যেসব রাজ্যের ইতিহাস রিপাবলিকানদের পক্ষে, তাদের বলা হয় রেড স্টেট বা লাল রাজ্য। আর ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে থাকা রাজ্যকে বলা হয় ব্লু স্টেট বা নীল রাজ্য। আর প্রভাব বিস্তারকারী এসব রাজ্যের সূচনা হয়েছিল সেই ১৮৬০ সালের গৃহযুদ্ধের সময়েই। সে সময় রিপাবলিকান আব্রাহাম লিঙ্কন দক্ষিণের প্রতি অনেকটাই নমনীয় ছিলেন। সেই থেকেই দক্ষিণের অনেক রাজ্যকে বলা হয় ‘রেড স্টেট’। এসব রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থীর বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত। আইডাহো, আলাস্কাও এই রেড স্টেট বা লাল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয় এবং উত্তর-পূর্ব এলাকার স্টেটগুলো। আর ভাগ্যনির্ধারণী যেসব রাজ্যে প্রার্থীদের ভোট এদিকে বা ওদিকে যেতে পারে, তাকে বলে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান স্টেট। ওহাইয়ো বা ফ্লোরিডার মতো দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ২০২০ সালের এ রকম দোদুল্যমান স্টেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন স্টেটকে। সাধারণত যেসব রাজ্যে বিজয় অর্জন একেবারে দুরূহ, সেসব রাজ্যে ইলেক্টোরাল পাঠানোই হয় না। সবচেয়ে মজার কথা হলো, মার্কিন নির্বাচনে ১৯৬৪ সাল থেকেই ওহাইয়ো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বলে বিবেচিত। ওহাইয়োতে যারা জিতেছেন, তাদেরই হোয়াইট হাউজে বসতে দেখা গিয়েছে ৫৬ বছর ধরে। এবারও নিশ্চয় সেখানেই চোখ থাকবে সবার।

প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্ক

১৫ অক্টোবর ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বিতীয় বিতর্কের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও ট্রাম্পের কোভিড শনাক্ত হওয়ার কারণে তা বাতিল করা হয়। ২২ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশভিলের বেলমন্ট ইউনিভার্সিটিতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন নির্বাচন।