Main Menu

হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে গেলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

অঘোষিত এক সফরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। দেশটি থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কয়েক সপ্তাহ আগে রোববার (২১ মার্চ) সকালে কাবুলে পৌঁছান তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ পরই আফগানিস্তানে অবস্থানরত সকল মার্কিন সেনাকে প্রত্যাহার করার কথা রয়েছে। তার আগে হঠাৎ করেই কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ এই মন্ত্রী কাবুল সফরে গেলেন। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটিতে চলমান যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তার দাবি, আফগানিস্তানে সহিংসতার মাত্রা এখনও অনেক বেশি। আর তাই সমঝোতার মাধ্যমে সংঘাতের অবসান ঘটাতে বড় ধরনের সহিংসতা হ্রাস করার দিকেই সকল পক্ষের মনোনিবেশ করা উচিত।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে চুক্তি করে ট্রাম্প প্রশাসন। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ মের মধ্যে দেশটি থেকে ওয়াশিংটনকে সকল মার্কিন সেনা সরিয়ে নিতে হবে। তবে বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর সেনা প্রত্যাহার নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যদিও আগামী ১ মের পরে দেশটিতে সেনা রাখা বা না রাখার বিষয়ে স্পষ্টভাবে এখনও কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, নাইন-ইলেভেনের হামলার পর তালেবান সরকারকে উৎখাত করতে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা করে মার্কিন সেনারা। তবে সেসময় তালেবান গোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে সরানো গেলেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি আমেরিকা। আর তাই প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী হামলার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এজন্য তালেবানকে দায়ী করে আসছে দেশটির প্রশাসন। সম্প্রতি দেশটির গোয়েন্দা প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ১৮ হাজারের বেশি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।

এসব হামলা বা হত্যার বেশিরভাগের দায় কোনো জঙ্গি সংগঠনই স্বীকার করেনি। তবে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধীপক্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানকে দায়ী করে থাকেন। অবশ্য তালেবান এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করে থাকে।