Main Menu

সিলেটে মাংসের দোকানে জবাই করা গাভির পেটে মিলল বাচ্চা

সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ বাজারের ‘মাখন মিয়ার গরুর গোস্তের দোকানে’ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বাচ্চাওয়ালা গাভি জবাই করার সত্যতা প্রাথমিকভাবে পেয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের তদন্ত টিম। গর্ভবতী গাভি জবাই করে গোশত বিক্রির চেষ্টাকারী সেই দোকান মালিককে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আজ শুক্রবার (বন্ধের দিন) হওয়ায় আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৫ এপ্রিল) সে দোকানের মালিককে আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।

তবে শনিবার (২৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে আরেক দফা তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ বাজারস্থ ‘মাখন মিয়ার গরুর গোস্তের দোকানে’ গর্ভবতী গাভি জবাই করার খবর পাওয়া যায়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩ সদস্যের একটি টিম সে দোকানে যায়। তবে এর আগে দোকান বন্ধ করে মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান।

জানা যায়, মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানের পার্শ্ববর্তী বিসমিল্লাহ মিট শপের ফারুক নামের কর্মচারী বৃহস্পতিবার সকালে তার দোকান খোলার সময় দেখতে পান- মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানে জবাইকৃত একটি গাভির ভেতর থেকে বাচ্চা বের করা হচ্ছে। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি তিনি আশপাশের আরো কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অবহিত করেন। এ খবর জানাজানি হয়ে গেলে মাখন মিয়ার গোস্তের দোকানের লোকজন গাভির বাচ্চাটিকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিসমিল্লাহ মিট শপের কর্মচারী ফারুক সেই বাচ্চার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

পরবর্তীতে এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি মাখন মিয়া গোস্তের দোকানের লোকজন।

এদিকে, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে সিসিকের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে টিম যাওয়ার আগেই মাখন মিয়া গোস্তের দোকানের লোকজন শাটার লাগিয়ে পালিয়ে যান।

তখন টিমের সদস্যরা আশপাশ দোকানের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পান।

এ বিষয়ে ডা. জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, আমরা খবরটা পাই বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে। খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে ভেটেরিনারি সার্জনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পাঠাই। সেই সঙ্গে মেয়র মহোদয়কেও বিষয়টি অবহিত করি।

তিনি বলেন, ওই টিম সেখানে যেয়ে ‘মাখন মিয়ার গরুর গোস্তের দোকান’ বন্ধ দেখতে পান। তখন টিমের সদস্যরা আশপাশের দোকানের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথামিকভাবে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় এ বিষয়ে আর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। আগামী রোববার এ দোকানের মালিককে বিধি মোতাবেক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এর আগে শনিবার আরেক দফা তদন্ত করা হবে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হবে।