Main Menu

সিলেটে পুলিশ-বিজিবিকে টার্গেট করেছিলো ‘আনসার আল ইসলাম’

সিলেটে পুলিশ ও বিজিবিকে টার্গেট করেছিলো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই দুই বাহিনীর টহল টিমের উপর হামলা করে সিলেটে বড় ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে আফগানিস্তানে চলে যাওয়ার যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এর সদস্যদের। তবে সংগঠনটির সদস্যদের উপর তীক্ষ্ম নজর রেখে এদের অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দিতে পেরেছে পুলিশ।

এসব পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সংস্থাটির একটি টিম শনিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

যে চারজন গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজনই সিলেট বিভাগের। গ্রেফতাকৃতদের মধ্যে- জসিমুল হক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপংকর ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মো. আব্দুল মুকিত হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার মারকাজুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। মো. আমিনুল হক সিলেটের আল হিদায়া ইসলামিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং মো. সজীব ইখতিয়ার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগ, একটা চাপাতি, ৫টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৯ মে) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা সিলেট এবং ঢাকায় পুলিশ ও বিজিবির টহল টিমে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এ চক্রের বাকি দুই সদস্য হিজরতের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তান গমন করে। এই চারজনেরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে কথিত হিজরতের মাধ্যমে আফগানিস্তান পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এজন্য তারা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে রেকি করে।

সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আনসার আল ইসলামের সদস্যরা নিষিদ্ধ এই সংগঠনের আদর্শ বাস্তবতায়নের লক্ষ্যে অনলাইনে টেলিগ্রাম আ্যপে সায়েন্স প্রজেক্ট নামে গ্রুপ তৈরি করে সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করে বিস্ফোরক প্রস্তুতের চেষ্টা করেছিল। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ডিভাইস পর্যালোচনা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নির্দেশে সিলেটের কোতয়ালি থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে হোটেল ম্যানেজারকে আহত করে পালিয়ে যায়।

এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের পরিকল্পনা ছিল গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো। এই বিষয়টি তাদের পরিকল্পনা পর্যায়ে ছিল। এই সায়েন্স প্রজেক্ট বা গ্রুপের সদস্য এখন পর্যন্ত ১০ জন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই গ্রুপের মাধ্যমে তাদের নিজেদের মধ্যে অনেক গোপন আলাপ হতো।