Main Menu

শেখ হাসিনা নন সীতা অরক্ষিতাঃ সাবধান ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ!

শেখ হাসিনা বাংলার স্বৈরশাসক হলেও, কোনোক্রমেই রামায়ণের সীতা নন, যাঁকে একদিকে ভারতের মিডিয়া-কথিত “লক্ষণ রেখা” দিয়ে বন্দিনী রাখা এবং অন্যদিকে সে-রেখা অতিক্রম করলে হরণ করা যায়।
তোমরা রাম-লক্ষণই হও কিংবা হনুমানই হও, ১৬ কোটির বাংলাদেশ জয় করার মতো লঙ্কাদ্বীপ নয়, যদিও আমাদেরও আছে কয়েকটি বিভীষণ। সেটি সামলে নেবো আমরা অনায়াসেই।
তোমাদের অনুমতি নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেনি বাঙালী। আমেরিকাও স্বাধীনতার যুদ্ধে সাহায্য নিয়েছে ব্রিটেইন শত্রু ফ্রান্সের। শত্রুর শত্রু বন্ধু হয় বটে সঙ্কটে; কিন্তু প্রকৃত বন্ধুত্ব হয় পারস্পরিক শ্রদ্ধায় ও মর্য্যাদার সাম্যে।
বন্ধুত্ব কাকে বলে তোমরা তা জানো না। তাই, আজ চারপাশে তোমাদের কোনো বন্ধু নেই। পাকিস্তান তোমাদের জন্মশত্রু; চীন তোমাদের শিয়রে দাঁড়ানো মৃত্যদূত; নেপাল তোমাদের ঘৃণা করে; ভূটান তোমাদের পছন্দ করে না; শ্রীলঙ্কায় তোমাদের ভাত নেই; আর বার্মা চলে চীনের কথায়।
আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে সাহায্য করার জন্যে ভারতীয় জনগণের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমরা; কিন্তু সে-কারণে কোনোক্রমেই ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর ক্রীতদাস নই। এ-সত্যটি কখনও ভুলে যেওনা কয়েকটি পদলেহী বিভীষণের আচরণে।
ভুলে যেওনা, ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত বুঝে পাক-হানাদার বাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছিলো বাঙালীর কাছে পরাজিত হওয়ার গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
কিন্তু পড়ে দেখো ১৬ই ডিসেম্বরের ‘ইনস্ট্রুমেণ্ট অফ সারেণ্ডার’। হানাদার পাক-বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিলো বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছ – শুধু ভারতের কাছে নয়।
মনে রেখো, বাংলার বাঘ কখনও হনুমানের ভেংচি দেখে ভয় পায় না। যেদিন তোমরা বাংলাকে সিকিম মনে করে হাত বাড়াবে, সেদিনই ভারত-সাম্রাজ্যের মৃত্যু ঘণ্টা বাজবে।
সুতরাং, সাবধান হে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ!

সূত্র – ফেইসবুক