Main Menu

শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন মোকাব্বির খান

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে দলের সিদ্ধান্ত সংসদে না যাওয়ার পক্ষে। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর শপথ নিচ্ছি না। যতক্ষণ পর্যন্ত দল ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে না ততক্ষণ আমিও শপথ নেব না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতদের কেউ সংসদে যোগ দেবেন না-জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মোকাব্বির খান বলেন, শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছিলেন সেটি দলের শীর্ষ পর্যায়ের মনোভাব বুঝেই। উনি (ড. কামাল) প্রথম দিকে নিজেও বলেছিলেন যে সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে উনার মতামত ইতিবাচক।

তাহলে আজকের এই ঘোষণার পর কি আর সংসদে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা রইল না? এই প্রশ্নের জবাবে মোকাব্বির খান বলেন, এখন দলের সিদ্ধান্ত না যাওয়ার পক্ষেই কিন্তু এটাও তো স্থায়ী কিছু না। সব ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের যে দুজন এবার জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন তাদের শপথ নেওয়ার ব্যাপারে কিছু দিন ধরেই চলছে জল্পনা কল্পনা। ২৮ জানুয়ারি মৌলভীবাজার-২ ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান জানান যে তারা শপথ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।

মোকাব্বির খান তখন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেহেতু গণফোরামের নির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ নেওয়ার ব্যাপারে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, সেক্ষেত্রে আমার অবস্থানও ইতিবাচক। তবে, শপথ নেব কি নেব না, ড. কামাল হোসেন দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।’

গণফোরামের এই দুই নেতার দিক থেকে এমন বক্তব্য আসার পর থেকে ঐক্যফ্রন্টের ভেতরের ঐক্য নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ শুরু থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, জোটের কেউ সাংসদ হিসেবে শপথ নেবে না।

বিষয়টি পরিষ্কার করে বৃহস্পতিবার ড. কামাল পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে আমাদের বিজয়ী প্রার্থীদের কেউ সংসদে যাবেন না।’