Main Menu

ব্রেক্সিট পরিকল্পনা উন্মোচন করলেন বরিস জনসন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মূলত সেই পরিকল্পনার আওতায় উত্তর আয়ারল্যান্ড পণ্যের জন্য ইউরোপের একক বাজারে থাকবে তবে তারা কেন্দ্রীয় শুল্ক ছেড়ে দেবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এর জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইন পরিষদে প্রথমে প্রস্তাবটি পাশ হতে হবে; আর তা আগামীতেও বজায় থাকবে কিনা বিষয়টি চার বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা প্রকাশের পর নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, ‘পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে এই প্রস্তাবের বাইরে আমাদের হাতে থাকা একমাত্র বিকল্প হলো সম্পূর্ণ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট। তাছাড়া ব্রিটিশ সরকারের এই প্রস্তাব যথাযথভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন।’

এ দিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জেন ক্লদ জাঙ্কারকে নিজের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা জানিয়ে লেখা চিঠিতে জনসন বলেছিলেন, ‘ব্রিটেনের জনগণ আমাদের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে।’

সরকারি সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, আসন্ন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে ইইউর সঙ্গে টানা দশদিন মেয়াদি একটি আলোচনা করতে চায় ব্রিটেন। পূর্ব নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে তারা চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে চায়।

অপর দিকে বরিস জনসনের পরিকল্পনা দেখার আগে আইরিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার বলেছিলেন, ‘আমরা যা শুনতে পাচ্ছি তা মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়; কেননা তা কোনো চুক্তি অনুযায়ী হচ্ছে না।’

এর আগে ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় চলতি বছরের মে মাসে আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মূলত তার সরে দাঁড়ানোর পর দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি নেতা বরিস জনসন।

নির্বাচিত হওয়ার পর পরই আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। যে কারণে প্রয়োজনে সম্পূর্ণ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে হাঁটারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন এই নেতা।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরিস বলেছিলেন, ‘১৫ অক্টোবর আগাম নির্বাচন কিংবা ৩১ অক্টোবর প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা না গেলে আমিও পদত্যাগ করতে পারি।’ বর্তমানে মূলত এসব বিষয় নিয়েই এক রকম দ্বন্দ্বে রয়েছে বরিসের দল। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন তার ছোট ভাই জো জনসন।’

যদিও লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন মনে করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি কেবলই নিজ দলের সদস্যের ভোটে নির্বাচিত; তাই তাকে কোনোদিন গণতন্ত্রের পক্ষের লোক বলে বিবেচনা করা যাবে না।’

করবিনের ভাষায়, তিনি (বরিস) রাজনীতিতে সবসময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুসরণ করছেন। আর এ কারণেই ব্রিটিশ জনগণ বর্তমানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও চাকরিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’