Main Menu

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখক-পাঠক আড্ডা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ‘রবীন্দ্রনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা’ শীর্ষক কবি ও গবেষক আলমগীর শাহরিয়ারের সঙ্গে লেখক-পাঠক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আড্ডায় আলোচকরা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার তরুণদেরই দায়িত্ব নিতে হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণের। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে পারলেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ঘৃণা ছড়ানোর অপপ্রয়াস বন্ধ করা সম্ভব।

গত রোববার লেখক-পাঠক আড্ডায় মূখ্য আলোচক আলমগীর শাহরিয়ার বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে আজ সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা দৃশ্যমান। বাঙালির শ্রেষ্ঠশিল্পী রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ শান্তি প্রিয় মানুষ কেউই আজ এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আক্রমণের বাইরে নয়। শাল্লা থেকে কুমিল্লা, রামু থেকে রংপুর সবখানে আজ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ওঁত পেতে আছে। সুযোগ পেলেই তারা ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ ঐতিহাসিকভাবে পরমত সহিষ্ণু বলেই এখানে নানা ধর্ম ও বিশ্বাসের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্বায়নের যুগে বৈচিত্র্যই একটি সমাজের সৌন্দর্য। সমাজের সে সৌন্দর্য বিনাশের যে কোনো অপতৎপরতা আজ প্রগতির পতাকাবাহী তরুণদেরই রুখতে হবে।’

জ্ঞানপিপাসু তরুণদের পাঠ্যবইয়ের বাইরে বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গেও সংযোগ বাড়াতে বলেন তিনি। তার মতে, কেবল বইয়ের মধ্যেই জগতের শ্রেষ্ঠ মানুষের চিন্তা নিহিত থাকে। তাদের লেখা পাঠের মধ্য দিয়ে স্থান-কাল-ভেদে তাদের দুর্লভ সঙ্গ লাভ সম্ভব হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত ভাবাদর্শ থেকে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ইতিহাস অনেক পুরনো। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একটি বিতর্ক প্রায়ই চোখে পড়ে। লেখক ও গবেষক আলমগীর শাহরিয়ার তার গবেষণাগ্রন্থের মধ্য দিয়ে এর সমুচিত ও সাহসী জবাব দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণে এমন একটি একাডেমিক ঘরানার কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। শুধু বেরোবির নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ জরুরি।’