Main Menu

বৃটিশ রাজনীতিতে সুনামগঞ্জের সৈয়দপুরের কাউন্সিলারবৃন্দ

বৃটেনের মেইনস্ট্রিম পলিটিক্স বা মূলধারার বৃটিশ রাজনীতিতে প্রথম কাউন্সিলার হিসেবে— ৮০ দশকের শেষদিকে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হন— সৈয়দ ফারুক হোসেন। তিনি সাউথশিল্ড এলাকা থেকে সাউথ টাইনিসাইড কাউন্সিলে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সৈয়দপুর গ্রামের হাড়িকোনার সম্ভ্রান্ত পরিবারের কৃতিসন্তান সৈয়দ ফারুক হোসেন ছোটবেলায় তাঁর পিতা মাতার সঙ্গে ইংল্যান্ড আসেন। তিনি স্হানীয় লেবার পার্টির সক্রিয় নেতা।
১৯৯৯ সালে বৃটেনের মিডল্যান্ড রিজনে প্রথম বাঙালি মুসলিম মহিলা কাউন্সিলার হিসেবে লেবার পার্টি থেকে সান্ডওয়েল মেট্রোপলিটন বারা কাউন্সিলে নির্বাচিত হন সৈয়দপুর গ্রামের আগুন কোনার মরহুম জনাব সৈয়দ এস এম আলীর কন্যা বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দা আমিনা খাতুন এম বি ই। টিপটন গ্রীন এলাকা থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলার সৈয়দা আমিনা খাতুন এম বি ই আজীবন সমাজ সেবায় নিবেদিত থাকার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৪ সালে বৃটেনের রাণী কর্তৃক এম বি ই খেতাব প্রাপ্ত হন। তিনি ই সৈয়দ পুরের প্রথম এম বি ই খেতাব প্রাপ্ত বৃটিশ রাজনীতিবিদ। এ ছাড়াও তিনি সান্ডওয়েল কাউন্সিলে ৭২ জন কাউন্সিলারের মধ্যে মাত্র দুইজন বাঙালি কাউন্সিলার হওয়া সত্বেও নিজ যোগ্যতা বলে ডিপুটি লিডারের পদে অধিষ্ঠিত হন। সৈয়দা আমিনা খাতুন এম বি ই একজন স্বনামধন্য লেবার পার্টির নেতা।
ইংল্যান্ড এর ওয়ারি ফরেস্ট ডিসট্রিক কাউন্সিলে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে কিডিরমিনিস্টার এলাকায় কাউন্সিলার নির্বাচিত হন সৈয়দ মুমশাদ আহমদ। তিনি সৈয়দপুর গ্রামের ইশান কোনার বিশিষ্ট মুরুব্বি আলহাজ্ব সৈয়দ মুস্তাক আহমদ এর সুযোগ্য সন্তান।
সৈয়দপুরের কৃতি সন্তান সাজু মিয়া ওয়ারি ফরেস্ট ডিস্টিক কাউন্সিলের ২০১৯ সালের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । তিনি কিডিরমিনিস্টারে ইংলিশ বসতি এলাকা হতে টানা দ্বিতীয় বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্যয়নমুলুক কাজ করে যাচ্ছেন । সাজু মিয়া কাউন্সিলরের পাশাপাশি সফলতার সাথে সলিসিটর পেশাও কৃতিত্বের সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন । তিনি সৈয়দপুর গ্রামের হাড়িকোনা নিবাসী জররার মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। অত্যন্ত বিনয়ী এই রাজনীতিকের আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা আছে।
সৈয়দ পুর পশ্চিমপাড়া নিবাসী— ইংল্যান্ডের রচডেল শহরে বসবাসারী প্রবীণ মুরুব্বী বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তি আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদ আলীর সুযোগ্য সন্তান কাউন্সিলার সৈয়দ আলী আহমেদ হাফিজ। রচডেল সিটি কাউন্সিল— লেবার পার্টি থেকে দুই দুইবার নির্বাচিত এই কাউন্সিলার এনভায়রনমেন্ট টিমের ডেপুটি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
সৈয়দ পুরের অগ্রগামী মহিলা নেতৃত্বের বলিষ্ট কন্ঠ, সুশিক্ষিত কাউন্সিলার লিমা কোরেশি লেবার পার্টি থেকে লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী টাওয়ার হ্যামলেটস বারার স্পিটালফিল্ডস থেকে কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন। সৈয়দ পুরের হাড়িকোনা নিবাসী বিশিষ্ট মুরুব্বি মরহুম
উমরা মিয়া কোরেশির সুযোগ্য কন্যা কাউন্সিলার লিমা কোরেশির স্বামী শমসির কোরেশিও একজন লেবার দলীয় সক্রিয় নেতা ।
লন্ডনের রেডব্রিজ বারা লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তারুণ্যের অহংকার, সুশিক্ষিত ও কর্মঠ মহিলা
নেত্রী— কাউন্সিলার সৈয়দা শামসিয়া আলী। সৈয়দ পুর গ্রামের গোয়ালগাঁও নিবাসী যুক্তরাজ্যের ডার্লিংটন শহরের মরহুম সৈয়দ তরব আলীর জৈষ্ঠ কন্যা সৈয়দা শামসিয়া আলী একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা। দলীয় তৎপরতায় তাঁর রয়েছে উল্লেখ যোগ্য অবদান।
লন্ডনের রেডব্রিজ বারা লেবার পার্টি থেকে কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দা সায়মা আহমেদ। তিনি সৈয়দ পুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান— ঢাকায় অবস্থানকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মরহুম সৈয়দ শফিক আহমেদের সুযোগ্য সন্তান। উচ্চ শিক্ষিত সৈয়দা সায়মা আহমেদ বর্তমানে বৃটিশ কাউন্সিলেও কাজ করছেন।
রাজনীতিতে তিনি সাফল্য মন্ডিত হবেন, এই প্রত্যাশা করছেন অনেক অভিজ্ঞজন।
৮০ দশক থেকে দলীয় সদস্য পদ গ্রহণের মাধ্যমে উল্লেখ যোগ্যহারে লেবার পার্টি ও কনজারভেটিভ পার্টিতে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বৃটিশ মূলধারার রাজনীতিতে আমাদের গ্রামের মানুষের অংশ গ্রহণ খুবই ক্ষীণ ছিলো।
আশির প্রথম দিক থেকে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাসকারী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা শেখ আবুল নূর, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রাজনৈতিক সৈয়দ নূরুল ইসলাম দুলু ( প্রাক্তন এম পি পদপ্রার্থী) এবং সৈয়দ আমীর আলীসহ অন্যান্যরা দলীয় সদস্যপদ গ্রহণের মাধ্যমে পার্টি তৎপরতায় অংশ গ্রহণ করেন। টাওয়ার হ্যামলেটসে প্রথম লেবার দলীয় কাউন্সিলার আশিক আলীর নির্বাচন থেকেই শেখ আবুল নূর ও সৈয়দ নূরুল ইসলাম দুলু সক্রিয় ভাবে দলীয় কাজে অংশ গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও তৎকালিন টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় বসবাসকারী সৈয়দ পুরের মরহুম সৈয়দ আবদুর রহিম ও মরহুম শেখ ইদ্রিস মিয়া লেবার দলীয় মেম্বার ছিলেন বলে জানা যায়।
প্রায় ১৫ হাজার যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়পুরীদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আগামীতে মূলধারার বৃটিশ রাজনীতিতে আরও এগিয়ে এসে অনেক উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবেন, এমনই প্রত্যাশা পোষন করেন— দেশে বিদেশে অবস্থানরত সৈয়দপুরিয়ানরা।
আমাদের সন্তানদের শিক্ষা রাজনীতি ও সমাজসেবা হোক মানবিক ও কল্যাণকর। জয় হোক সৈয়দ পুরের।