Main Menu

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভোগান্তির কারণ দেখালেন পন্টিং

বাংলাদেশ সফরের ভরাডুবি শক্তভাবেই আঁচড় কেটেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। সফর শেষের কদিন পরও রয়ে গেছে রেশ। চলছে কারণ অনুসন্ধান। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের মতে, কন্ডিশন সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকা ও স্কিলের ঘাটতি মিলিয়ে শোচনীয় এই পরাজয় অস্ট্রেলিয়ার।

বাংলাদেশে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে ৬২ রানে গুটিয়ে গিয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে রান করার পথ খুঁজে পায়নি তাদের ব্যাটিং লাইন আপ।

এই সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টিতে কখনোই বাংলাদেশের কাছে হারেনি অস্ট্রেলিয়া, কোনো সংস্করণেই ছিল না সিরিজ হারের অভিজ্ঞতা।

এসইএন রেডিওতে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইনের সঙ্গে পন্টিংয়ের আলাপচারিতায় উঠে এলো বাংলাদেশে পরাজয়ের প্রসঙ্গ। দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পন্টিং ব্যাখ্যা করলেন হারের কারণ।

“এই কন্ডিশনে আমাদের জানাশোনার স্বল্পতা এবং স্কিলের ঘাটতি আবারও আমাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। আমার স্মৃতিতে যতদিন মনে পড়ে, ততদিন ধরেই এটা আসলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বড় দুর্বলতা। বেশির ভাগ সময়ই যদিও ভুগতে হয়েছে টেস্টে। শ্রীলঙ্কায় ও ভারতে অবশ্য আমরা সাদা বলের ক্রিকেটে লড়াই করার পথ খুঁজে নিয়েছি কোনোভাবে।”

বাংলাদেশে শীর্ষ ক্রিকেটারদের কয়েকজনকে না পেলেও সেটিকে দায় দিচ্ছেন না পন্টিং। বরং তিনি তুলে ধরলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কাঠানোর দুর্বলতা।

“এটা (বাংলাদেশে হার) প্রমাণ করে যে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গভীরতা যতটা থাকা উচিত, তার ধারেকাছে নেই। কাজেই অনেক কাজ করতে হবে।”

বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়েও তাই বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে।

তবে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য সিরিজ দুটি সূচিতে ঠাঁই পেলেও খেলেননি ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, জাই রিচার্ডনসন, কেন রিচার্ডসনের মতো ক্রিকেটাররা। চোটের কারণে বাংলাদেশ সফরে আসেননি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও।

পন্টিং অবশ্য মনে করেন, এই ক্রিকেটাদের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ হতে পারে আইপিএল। কোভিডের প্রকোপে গত মে মাসে স্থগিত হওয়া আইপিএলের বাকি অংশ হবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আইপিএল শেষে সেখানেই হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

আইপিএল দল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ পন্টিংয়ের মতে, ওয়ার্নার-স্মিথদের জন্য আইপিএল খেলার চেয়ে ভালো বিশ্বকাপ প্রস্তুতি আর হয় না।

“ওই ছেলেরা, যারা তিন-চার মাস ধরে খেলছে না, তাদের ছন্দে ফিরতে হবে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে উঁচু মানের ক্রিকেট খেলে। বিশ্বকাপের একদম একই কন্ডিশনে তারা খেলবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। কোনো সন্দেহ নেই, এটিই হবে তাদের সেরা প্রস্তুতি।”

“বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই থাকবে সেখানে… অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের দিল্লি ক্যাপিটালসে চাই বলেই আমি শুধু এটা বলছি না।

অধিনায়ক ফিঞ্চ অবশ্য খেলতে পারবেন না আইপিএলে। চোটের কারণে অনিশ্চিত স্মিথও। সন্তানসম্ভাবা সঙ্গিনীর পাশে থাকার জন্য সম্ভবত খেলবেন না কামিন্সও। তবে ওয়ার্নার, ম্যাক্সওয়েল, স্টয়নিস, রিচার্ডসনরা খেলবেন আইপিএলে।