পরীমণি ৪ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বনানী থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড না দিয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে আবদুল্লাহ আবু বলেন, মামলার আসামি পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা। এই মাদক কোথা থেকে আসল? তার উৎস কী? কে এই মাদক পাঠাল? মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সুরভি বলেন, তার (পরীমণির) বাসা থেকে যে সাড়ে ১৮ লিটার মদ উদ্ধার দেখানো হয়েছে, তা তার বাসায় ছিল না। তার বাসায় কয়েকটি খালি মদের বোতল ছিল। সেগুলো ডেকোরেশন পিস হিসেবে রাখা ছিল। এগুলো জব্দ তালিকায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার কাছে কোনো আইস এবং এলএসডি ছিল না। আমরা তার জামিন চাই।
রাত ৮টা ২৫ মিনিটে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুকে হাজির করা হয়। পরে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এর আগে, সন্ধ্যার দিকে শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮- এর কয়েকটি ধারায় বনানী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাবের সদর দফতরে। বুধবার রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে।
বৃহস্পতিবার তাকে আটকের বিষয়ে ব্রিফ করে র্যাব। ব্রিফিংয়েই জানানো হয় পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হবে।