Main Menu

নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ৬৫ কোটি টাকা, অ্যাকশনে যাচ্ছে সিসিক

আদায়কৃত হোল্ডিং ট্যাক্স ফিরে আসে নগরবাসীর উন্নয়ন হয়ে। কিন্তু সিলেটে সেই উন্নয়নে অনেকটাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনাদায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স।

নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্সের বকেয়া হিসেবে ৬৫ কোটিরও বেশি টাকা পাবে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তবে এবার হার্ড লাইনে সিসিক। আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধ না করলে অ্যাকশনে নামবে সিটি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া কর পরিশোধ করলে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে সিসিক।

এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ । সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মাে. মতিউর রহমান খান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-
‘এতদ্বারা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সানিত নাগরিকবৃন্দের অবগতির জন্য জানানাে যাচ্ছে যে, সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন বাসা বাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের যে সকল করদাতা বকেয়া ও হালসনের হােল্ডিং ট্যাক্স পরিশােধ করেননি তাদেরকে জরুরিভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশনের হােল্ডিং ট্যাক্স ৩০/০৯/২০২১ইং তারিখের মধ্যে পরিশােধ করার জন্য অনুরােধ করা যাচ্ছে। দাবির নােটিশ ও ক্রোক নােটিশ প্রাপ্তির পরও যে সকল করদাতা হােল্ডিং ট্যাক্স পরিশােধ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মালামাল ক্রোক, জরিমানা আদায়সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। উক্ত অভিযানে সার্বিক সহযােগিতা প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরােধ করা যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে যে সমস্ত করদাতা বকেয়া কর পরিশােধ করেননি, উক্ত সময়ের মধ্যে কর পরিশােধ করলে বকেয়া করের উপর বিশেষ রিবেট/ছাড় প্রদান করা হবে।’

এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সার্বিক করের তুলনায় হোল্ডিং খুবই সামান্য। কিন্তু সেই সামান্য ট্যাক্স পরিশোধে বেশিরভাগ ব্যক্তিদের কেন এত অনীহা কেন, তা বোধগম্য নয়। এসব তো আবার নিজেদের উন্নয়ন হয়েই ফিরে আসছে।

তিনি বলেন, সিলেট নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা ৬৫ কোটিরও বেশি বকেয়া। ট্যাক্স পরিশোধ না করার তালিকায় যেমন নামকরা ব্যবসায়ী ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে, তেমনি আছে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানও। তবে এবার কঠোর অবস্থানে নামছে সিটি কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ট্যাক্স পরিশোধ না করলে মালামাল ক্রোক ও জরিমানা আদায়সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।