Main Menu

খোলা থাকবে শপিংমল, বন্ধ থাকবে গণপরিবহন

চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিধিনিষেধের সময়ে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে গণপরিবহন চলাচল।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল প্রজ্ঞাপন হতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ৮টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা থাকবে। মানুষকে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলে যেতে হবে। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।’

এদিকে এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জনিয়েছিলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথমবার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করেছে সরকার। এখন বাড়তি এই সময়ে বিধিনিষেধ কঠোর হবে নাকি শিথিল থাকবে তা জানা যাবে প্রজ্ঞাপন জারির পর।