Main Menu

কোনো হাসপাতাল নেয়নি: ঢামেকে যুবকের মৃত্যু, ছেলের খবরে মারা গেলেন বাবাও

একমাত্র ছেলের করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর শুনে শোকার্ত বাবা এক ঘণ্টার মাথায় মারা গেছেন। আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সরদারপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের নাম রিমন সাউদ (২৭)। তিনি ইয়ার হোসনের (৬০) একমাত্র ছেলে। ইয়ার হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার ললাটি এলাকার এমআরবি ইটভাটার মালিক।

মৃত ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রিমন সাউদ করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বাবা ইয়ার হোসেনের হার্টঅ্যাটাক হয়। পরে তাকেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৭টার দিকে তিনিও মারা যান।

ইয়ার হোসেনের জামাতা রানা ভূঁইয়া জানান, ভোরে তার শ্যালক রিমন সাউদ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জ্বর, ঠান্ডা, কাশি থাকার কারণে কোনো হাসপাতাল তাকে ভর্তি নেয়নি। অবশেষে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে হার্টঅ্যাটাক হয় তার শ্বশুর ইয়ার হোসেনের। তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিটিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমার শ্যালকের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো রিপোর্ট আসেনি।

রানা ভূঁইয়ার দাবি, তার শ্যালকের নিউমোনিয়া ছিল। তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন না। শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কোনো হাসপাতাল তাকে চিকিৎসা দিতে রাজি হয়নি। বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হলো।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক বলেন, ছেলে হাসপাতালে মারা গেছে শুনে বাবার হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। তিনিও পরে হাসপাতালে মারা যান। ছেলে করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা নিশ্চিত নয়।