Main Menu

কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে যে শর্ত দিল কাতার

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোজোটের সেনাবাহিনী চলে যাবার পর তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে। তারা ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। সরকার গঠন করলেও বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তালেবান কাতার ও তুরস্কের সহায়তা চেয়েছে। কারণ, বিমানবন্দর পরিচালনার মতো তালেবানের কাছে এই মুহূর্তে যোগ্য লোকবল নেই।

তালেবানের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাবুলের বিমানবন্দর পুনরায় চালু করেছে। তবে বিমানবন্দরের পরিপূর্ণ দায়িত্ব নিতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে কাতার।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, তালেবানসহ বিমানবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছ থেকে `সুস্পষ্ট চুক্তি’ ছাড়া বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেবেন না বলে জানিয়েছে কাতার।

কাতারের পররাষ্ট্র মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি রোববার কাবুলে আসেন। তিনি তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দসহ তালেবান মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আল আরাবিয়ার খবর অনুসারে, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর কাবুলে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে কাতার। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সহায়তাসহ কাবুল বিমানবন্দরে কারিগরি সহায়তাও প্রদান করছে মুসলিমবিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সমৃদ্ধশালী এই দেশটি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সকল কিছু ঠিকঠাকভাবে করা হোক। যদি এগুলো সঠিকভাবে না করা হয়, তাহলে আমরা বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে পারব না। বিমানবন্দর নিয়ে কাতার এখনও তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

‘সুস্পষ্ট চুক্তি’ ও ‘সবকিছু ঠিকঠাকভাবে’ বলতে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বুঝিয়েছেন সেটা সংবাদে উল্লেখ করা হয়নি।

বিমানবন্দর পরিচালনায় কারিগরি সহায়তার চাইলেও বিদেশি কোনো বাহিনীকে তালেবান বিমানবন্দর পরিচালনার অনুমতি দেবে না বলে বারবার জানিয়েছে তারা। তবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তালেবানকে বিদেশি সহায়তা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন জানিয়েছেন, বিমানবন্দর পরিচালনায় তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন।