Main Menu

কানাডায় ৭ দিনে চার গির্জা পুড়ে ছাই

পশ্চিম কানাডায় দুইটি গির্জা আগুনে পুড়ে মাটিতে মিশে গেছে। শনিবার (২৬ জুন) এঘটনা ঘটে। কর্মকর্তারা বলেছেন, উভয় বিল্ডিং সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা আগুনটিকে সন্দেহজনক হিসাবে বিবেচনা করছেন। রবিবার (২৭ জুন) এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার আরো দুইটি গির্জায় আগুন লেগেছিল। শনিবারের ঘটনাসহ এক সপ্তাহের ব্যবধানে চারটি গির্জা পুড়ে ছাই হলো।

এর আগে, কানাডার আদিবাসী অধিকার সংস্থা দ্য ফেডারেশন অব সোভারিজিন ইন্ডিজেনাস নেশনস জানিয়েছিল, সাসকাচুয়ান রাজ্যের ম্যারিভাল ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গণকবরগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে। ঠিক কতসংখ্যক গণকবর সেখানে রয়েছে- সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য অবশ্য জানা যায়নি। তবে বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কানাডার ইতিহাসে এর আগে এত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

মে মাসেও আরেকটি স্কুল প্রাঙ্গনে গণকবর পাওয়া যায়। এসব স্কুল পরিচালনা করতো গির্জা। আবাসিক পদ্ধতিতে পরিচালিত এই স্কুলগুলো ১৮৩১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে সেই ঘটনায় ক্ষমা চাইতে খ্রিষ্টান ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিসকে কানাডায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অটোয়াতে সাংবাদিকদের জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমি পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি কথা বলেছি যেন তিনি ক্ষমা চান। আর এটা তার জন্য কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কানাডার মাটিতে আদিবাসী কানাডিয়ানদের কাছেও ক্ষমা চাওয়া।