Main Menu

ওমান সাগরে জাহাজ ‘ছিনতাইয়ের’ অভিযোগ, যা বলছে ইরান

সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলের কাছে ওমান সাগরে জাহাজ ছিনতাই হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, এর সঙ্গে ইরানকে না জড়াতে সতর্ক করেছে দেশটি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরের অদূরে ব্রিটিশ জাহাজ ‘সম্ভাব্য ছিনতাই’ হয়েছে বলে যুক্তরাজ্য দাবি করার পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে গুজব বা অপপ্রচারণামূলক খবর ছড়ানোর ব্যাপারে পশ্চিমা ও ইহুদিবাদী গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছেন।

যুক্তরাজ্যের দাবি, ওমান সাগরের এ ঘটনায় ‘ইরানের সামরিক বাহিনী অথবা তাদের অনুগত কোনো গোষ্ঠী’ জাহাজটিতে অনুপ্রবেশ করে এটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে কিনা তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।

এ ধরনের প্রচারণাকে ‘চরম অসত্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলাচলকারী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কে অনর্থক ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এ ধরনের প্রচারণা চালানো হয়ে থাকতে পারে।

পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ও ওমান সাগরে সম্প্রতি একের পর এক নিরামত্তামূলক ঘটনাকে ‘সন্দেহজনক’ আখ্যায়িত করে খাতিবজাদে বলেন, সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে কিছু ঘটনা ঘটানো হচ্ছে এবং কিছু অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ওমান সাগরে গত সপ্তাহে ইসরাইলি মালিকানাধীন একটি তেল ট্যাংকারে সন্দেহজনক হামলায় দুই ক্রু নিহত হন। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে একই সাগরে অন্তত চারটি জাহাজ ছিনতাই হয়েছে বলে জাহাজগুলো থেকে সতর্কতামূলক বার্তা পাঠানো হয়েছে।

আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে ৬১ নটিক্যাল মাইল (১১৩ কিলোমিটার) পূর্বে ওমান সাগরের এ ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

প্রাথমিকভাবে ব্রিটিশ মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স বা ইউকেএমটিও এ ঘটনাকে ‘নন-পাইরেসি ইনসিডেন্ট’ বা ‘অ-জলদস্যুসুলভ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছে।

সংস্থাটি বলেছে— ওই এলাকা দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলো যেন ‘সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক’ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তবে পরে ব্রিটিশ মেরিটাইম এজেন্সি এ ঘটনাকে ‘সম্ভাব্য ছিনতাই’ বলে ঘোষণা করে।