Main Menu

এক মিষ্টি আলুর ওজন ৫ কেজি!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক কৃষি জমি থেকে পাঁচ কেজি ওজনের একটি মিষ্টি আলু তোলা হয়েছে। এ আলু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে এসে ভিড় করছেন। বর্তমানে আলুটি উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধানে সপ্তাহব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় প্রদর্শনীতে আনা হয়েছে।

সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের কৃষক মো. হোসেন মিয়ার জমি থেকে মিষ্টি আলুটি তোলা হয়। কৃষক হোসেন মিয়া ওই গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে।

কৃষক হোসেন মিয়া বলেন, ১৫ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে সিন্ধি প্রজাতির লাল মিষ্টি আলুর লতা রোপণ করেন। আলুর লতা রোপণের ৬-৭ মাসের ব্যবধানে জমিতে ফলন হয়। জমি থেকে আলু তোলার জন্য মাটি খুঁড়তে শুরু করেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি এটি মিষ্টি আলু। পরে উৎসাহ নিয়ে আলুর চারদিক থেকে মাটি সরানোর পর অবাক হয়ে যায়। এরপর বিশাল বড় আকৃতির মিষ্টি আলুটি তোলা হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ওজন করে দেখা যায় এই আলুর ওজন ৫ কেজি ১০০ গ্রাম। মুহূর্তে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সবাই আমার বাড়িতে আলুটি দেখতে আসে।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত এ উপজেলার মধ্যে সব চাইতে বড় আলু ফলন তার জমিতে হয়েছে বলে জানায়। তিনি বলেন, কম খরচে অধিক ফলন পেতে মিষ্টি আলু চাষের বিকল্প নেই। ১৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ মণ আলু উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা করছেন। প্রতিকেজি আলু স্থানীয় বাজারে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানায়। এখন পর্যন্ত তিনি ৫ হাজার টাকার ওপর আলু বিক্রি করেছেন বলে জানায়।

শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, মেলা ঘুরে দেখতে গিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের স্টলে এই আলুটি নজরে পড়ে। প্রথমে বুঝিনি এটি আলু। তারপর লোকজনে বলাবলি করায় সেটি ভালো করে দেখা হয়। দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, সাধারণত আধা কেজি বা এক-দেড় কেজি ওজনের মিষ্টি আলু হয়ে থাকে। এটি আসলে ব্যতিক্রম হয়েছে। মূলত মাটির গুনাগুণ ভালো হলে ফলন ভালো হয়ে থাকে। ফলন ভালো রাখতে কৃষকদেরকে সব সময় পরামর্শ দেওয়া হয়।