Main Menu

ইংল্যান্ডে থাকছে না কোনো করোনা বিধিনিষেধ

যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড থেকে তুলে নেয়া হয়েছে করোনার সকল ধরণের বিধিনিষেধ। তারপরও দেশের সব নাগরিককে মরণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

এখন থেকে কতজন মানুষ একসঙ্গে দেখা করতে পারবেন বা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন সে ব্যাপারেও থাকছে না কোন নিয়ম কানুন। পুনরায় খুলে দেয়া হচ্ছে নাইটক্লাবগুলো, মদের দোকান কিংবা রেস্টুরেন্টেও এখন আর টেবিল সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না। কিছু জায়গায় মাস্ক পরতে বলা হয়েছে তবে তা আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক নয়।

রবিবার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার এটাই সঠিক সময়। তিন বলেন, এখন যদি আমরা এ সিদ্ধান্ত না নিতে পারি তাহলে আমাদের নিজেদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে, কখনো কী আমরা লকডাউন তুলে নিতে পারবো? করোনা ভাইরাস শীত ও শরৎকালে আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।

তার ভাষ্যমতে, আমরা খুব সাবধানতার সঙ্গেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মনে রাখতে হবে ভাইরাসটি দুঃখজনকভাবে এখনো এখানে আছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণের তীব্রতা আমরা দেখতে পারি।

১৯ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেয়ার ফলে মানুষ এখন থেকে একে অপরের সঙ্গে যেকোনো স্থানে দেখা করতে পারবে। বিধিনিষেধের মধ্যে মানুষ ঘরে বসে কাজ করত কিন্তু এখন ধীরে ধীরে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। মানুষ এখন থেকে পুরাদমে সিনেমা হল ও নাইট-ক্লাবে যেতে পারবে। গণপরিবহনে, জনসমাগম স্থানে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এখন থেকে আর বাধ্যতামূলক নয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং চ্যান্সেলর আইসোলেশনে আছে। করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে তাই সবাইককে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দেশটিতে ৬৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ফলে করোনায় আগের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি, তীব্র অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার কমে গেছে।

যুক্তরাজ্যে ২৮ দিনের মধ্যে রোববার নতুনভাবে ৪৮ হাজার ১১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের। জানুয়ারির পর এই প্রথম শুক্র ও শনিবার ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।