Main Menu

আপত্তিকর কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক-টিকটককে বিটিআরসির অনুরোধ

আপত্তিকর কনটেন্টগুলো সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক ও টিকটক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিটিআরসি।এ বিষয়ে ফেসবুক-টিকটক কর্তৃপক্ষও যথাসম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

শনিবার এক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানান বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার : নারী ও মেয়ে শিশুদের পাচার রোধে করণীয়’ বিষয়ে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

টিকটক ও লাইকির বিষয়ে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, লাইকি ও টিকটকের জন্য খুব সামান্য সেটআপ ও দক্ষতার দরকার হয়। তাই স্বল্প শিক্ষিত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা খুব সহজেই সাইবার বিনোদন জগতে প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া টিকটকের রিপোর্টিং সিস্টেমে অশ্লীল বিষয়কে আলাদা করে দেখানো হয় না বলে যে যা খুশি আপলোড করতে পারে।

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, খুব দ্রুত ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। যার মাধ্যমে মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর পরিচয় বোঝা যাবে। এতে একজন আরেকজনের সেট বা সিম ব্যবহার করতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিটিআরসি ইলেই টিকটক ও ফেসবুক বন্ধ করতে পারে না। এ ব্যাপারে সমাজের সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য আমরা প্যারেন্টাল গাইড প্রসঙ্গে অভিভাবকদের সঙ্গে ওয়ার্কশপ করার কথা ভাবছি।কারণ অভিভাবকরা ইন্টারনেট লাইন নেওয়ার সময়ে প্যারেন্টাল গাইড বিষয়টি লক্ষ্য করেন না।

ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে যে এভাবে নারী পাচার কার্যক্রম চলছে, তা বুঝতে আমাদের দেরি হয়ে গেছে। আমরা মনে করেছিলাম এসব মজার অ্যাপস সারা দুনিয়ায় চলছে। এখানেও সেইভাবেই চলছে। কিন্তু পরে দেখলাম তরুণদের একটা গ্রুপ সংগঠিত হয়ে অপরাধ করছে এসব অ্যাপস ব্যবহার করে।এখন আমরা চেষ্টা করছি। শুক্রবারও (৯ জুলাই) এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অবশ্যই দেশের গণমাধ্যম, অভিভাবক এবং বিশেষ করে কিশোরী-তরুণীদের সচেতন হতে হবে।

ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, সাংবাদিক শফিক শাহীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে ওয়ারা এবং এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য সুমন আহমেদ সাব্বির।