Main Menu

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কওমি আলেমদের বিচার দাবি

কওমিপন্থীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা সহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য হেফাজত যতটুকু দায়ী, তেমনি সরকারও দায় এড়াতে পারে না। এসব জঙ্গিবাদীদের প্রতি কঠোর না হওয়ায় তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস পেয়েছে। কওমিদের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমর্যাদা প্রদান করা দেশ ও জাতির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ৭১’র ঘাতক-দালাল রাজাকারদের যেভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে তেমন কওমিদের উদ্যোগে গঠিত স্বাধীনতাবিরোধী আরেক অপশক্তি ‘মুজাহিদ বাহিনীরও বিচার হতে হবে। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, পটিয়া, ঢাকার বড় ও ছোট কাটারা, লালবাগসহ বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় মুজাহিদ বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এসব ক্যাম্পগুলোতে মুজাহিদ বাহিনী রাজাকার আলবদরের ন্যায় যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করেছিল।

এসময় ইসলামী ফ্রন্টের সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিসমূহ হলো- রাজাকার আলবদর আলশামসের মতো কওমিপন্থী মুজাহিদ বাহিনীকেও আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবব্যুনালে বিচার করতে হবে। অবিলম্বে জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কওমি মাদ্রাসাকে অডিটের মধ্যে এনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আলিয়া-কওমি উভয় ধারাকে অভিন্ন শিক্ষানীতির আলোকে পরিচালনার উদ্যোগ নিতে হবে। কওমি-হেফাজতি জঙ্গিদের অর্থ ও মদতদাতা যে দলেরই হোক না কেন সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন বাতিলসহ দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নারী নিপীড়ক, ধর্ষক, হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ওঠে দ্রুত আইনে সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন বলেন, সরকার আলিয়া মাদ্রাসার মতো কওমিদের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাবুনগরী এবং শফিপন্থীতে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। যে পন্থীই হোক না কেন হেফাজতকে নিষিদ্ধ করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা এম এ মান্নান, আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, শাইখ আবু সুফিয়ান আবেদী, পীরজাদা ছাদেকুর রহমান হাশেমী, কাযী মুহাম্মদ সোলায়মান চৌধুরী, পীরজাদা সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদি প্রমুখ।