Main Menu

হেফাজত নেতা মামুনুল হক ৫ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামুনল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাত দিনের রিমান্ড শেষে এ দিন সকালে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা ৬০(৩)২১ ধারার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে এ ঘটনায় পল্টন থানায় করা ৫৭(৩)২১ ধারার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। উভয় মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে শুনানি হয়।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল মতিঝিল ও পল্টন থানার নাশকতার দুই মামলায় মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৯ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর জখম, চুরি মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

তার আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন মাওলানা মামুনুল হক।

নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা মনে করছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের (বিলুপ্ত কমিটি) যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় দুই হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।