Main Menu

সুযোগ হাতছাড়া করেছি, সমালোচনা করা ঠিক হবে না

শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে দুটি ক্যাচ ফেলে দিয়ে। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বও প্রশ্নবিদ্ধ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। রোববার শারজায় টি ২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। এমন আর না-ও পাওয়া যেতে পারে। সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান ও সিনিয়র কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম কীভাবে দেখছেন সুযোগ হাতছাড়া করাটাকে?

রকিবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমি বাংলাদেশকে একশর মধ্যে ৯০ দিয়েছি। কিন্তু বোলিংয়ে ৬০%। ভালো খেলে ছেলেরা হেরেছে। দোষ ধরলে তো অনেকভাবেই ধরা যায়। তবে এ সময়ে কারও ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া, সমালোচনা করাটা ঠিক হবে না। বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। ম্যাচ জেতার জন্য তা যথেষ্ট ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কেউ ইচ্ছা করে হারতে চায় না। সবাই চেষ্টা করে জেতার জন্য। অধিনায়কও চেষ্টা করে। সেটাই করেছে মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু কাজে আসেনি। কাজে এলে সমালোচনা হতো না। এখানে মাহমুদউল্লাহর দোষ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। মাহমুদউল্লাহ হয়তো আত্মবিশ্বাসী ছিল। তাই নিজে বল হাতে নিয়েছেল। মোস্তাফিজ ও সাকিবকে শেষের জন্য রেখে দিতে চেয়েছিল।’ তিনি স্বীকার করেন, ‘অবশ্যই আমরা জয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছি। তবে সামনে এমন সুযোগ আরও তৈরি করতে হবে। সবার উচিত সমালোচনা না করে সমর্থন দেওয়া।’

ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘প্রতিটি বিভাগে উন্নতি দরকার। সেটা এখনো হয়নি। সমপর্যায়ের দলগুলোর বিপক্ষে কীভাবে খেলতে হবে, এই জায়গাটায় আমরা পিছিয়ে আছি। এই ম্যাচে কিছুটা উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ওমানে যাওয়ার পর কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ধীরে ধীরে উন্নতি চোখে পড়ছে। আরেকটা বিষয় হলো, আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ এমন উইকেটে খেলিনি। মন্থর উইকেটে নিয়মিত খেলে সেখানে গেছে দল। তাই বোলারদের মধ্যে ঘাটতি রয়ে গেছে। এই জায়গাটায় হয়তো আমরা পিছিয়ে আছি। এর আগে যদি এরকম উইকেটে এরকম পরিস্থিতিতে খেলার অভিজ্ঞতা থাকত, তাহলে বোলারদের কাজটা সহজ হয়ে যেত। উন্নতি হয়েছে, কিন্তু জয়ের পর্যায়ে এখনো যায়নি দল।’

তিনি যোগ করেন, ‘কোচ-অধিনায়কের সমালোচনা অনেকেই করছেন। সেটা উচিত নয়। অধিনায়ক মাঠে অনেক সিদ্ধান্তই নিতে পারে। অনেক সময় সেটা কাজে না-ও লাগতে পারে। শ্রীলংকা যখন চাপে ছিল, তখন হয়তো অধিনায়ক ভেবেছিল পার্টটাইমার বোলার দিয়ে কয়েকটা ওভার করিয়ে নেওয়া যায়। তখন তারা পার্টটাইমারদের ওপর চড়াও হবে না, হয়তো এমনটা ভেবেছিল। আবার উলটোটাও ভাবা যেত। চাপের মুখে আরও চাপ দিয়ে উইকেট নেওয়ার লক্ষ্য থাকতে পারত। আমরা দুটি ক্যাচও নিতে পারিনি। ক্যাচ মিস হতেই পারে। তাই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল বলা যাবে না।’

তিনি মনে করেন, ‘ক্রিকেটারদের সমালোচনা না করে তাদের পাশে থাকা উচিত। বিসিবির উচিত তাদের উৎসাহ দেওয়া। দর্শকরা অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু পাশের মানুষ যদি ব্যথা দিয়ে কথা বলেন, খেলায় এর প্রভাব পড়বেই। পাশে থাকলে তারা চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে। এগিয়ে যাওযার উৎসাহ পাবে।’

নাজমুল আবেদীন ফাহিম সবশেষে যোগ করেন, ‘উন্নতির জায়গা ঠিক থাকলে বাংলাদেশ দু-একটা ম্যাচ জিততেও পারে।’