Main Menu

‘সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে এক সাংসদ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে একজন সাংসদ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি সুনামগঞ্জ সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগের কল্যাণে সুনামগঞ্জ-৪ আসন ছেড়ে দেওয়ার কারণে জাতীয় পার্টি থেকে বিনা ভোটে সাংসদ হয়ে নিজে বিশ্ববিদ্যালয় এনেছেন তা সদরের মানুষকে বুঝিয়ে বাহবা নিতে চান তিনি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি কোনো কাজ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সুনামগঞ্জের হাওরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার।

আজ সোমবার বিকেলে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুমের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভায় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পৌর এলাকায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ওভারহেড ট্যাংক ও ড্রেনেজ নির্মাণকাজ এবং গভীর নলকূপ টুইন-পিট ল্যাট্রিন বিতরণের উদ্বোধন করেন।

গত ২ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর বিলটি ৭ সেপ্টেম্বর সংসদে উত্থাপিত হয়। পরে এ-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ এলাকায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ সুনামগঞ্জ সদরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

সোমবারের অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাব করেছি। ওই এলাকায় সুনামগঞ্জের ২৫ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ লাখ মানুষের সুবিধা। এ ছাড়া এতে কোনো ফসলি জমি নষ্ট হবে না। মাটির খরচ হবে কম। এসব বিবেচনায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু তিনি (সাংসদ) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

জগন্নাথপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় এ সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিদ্দিক আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পরিকল্পনামন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, প্যানেল মেয়র সফিকুল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফরোজ ইসলাম প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী সভায় আরও বলেন, বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের পিছিয়ে থাকা অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে যেতে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, ‘আমি হাওরের মানুষ। ছোটবেলায় দেখেছি হাওরের মানুষ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে কত কষ্ট করে। তাই হাওর এলাকার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে দেশে পানির সংকট থাকবে না। গ্রামে গ্রামে আমরা পানি পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেছি।’