Main Menu

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নি:শ্বর্ত মুক্তির দাবীতে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের মানবন্ধন

বির্তকিত অফিসিয়্যাল সিক্রেট এ্যাক্ট ১৯২৩ বাতিলের দাবী

দৈনিক প্রথম আলোর অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবীতে পূর্ব লণ্ডনের আলতাব আলী পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানবন্ধন করেছে ব্রিটেনে বাংলা মিডিয়াতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ওই সমাবেশে বক্তরা বলেন, রোজিনার উপর আক্রমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপরই হস্তক্ষেপ ।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নি:শ্বর্ত মুক্তি ও বির্তকিত অফিসিয়্যাল সিক্রেসি এ্যাক্ট ১৯২৩ বাতিলের দাবী জানিয়েছেন তারা। আয়জিত প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রিটেনে কর্মরত টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অন লাইনে কর্মরত সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীরা অংশ নেন।

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং চ্যানেল এস-এর চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়েরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও অংশ নেন, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্টাতা সেক্রেটারী যথাক্রমে মহিব চৌধুরী ও নজরম্নল ইসলাম বাসন, ক্লাব ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলা পোষ্ট সম্পাদক ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, ট্রেজারার ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইউরোপ চীফ আ স ম মাসুম, সাবকে প্রেসিডেন্ট সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ বেলাল আহমদ, এটিএন বাংলা ইউকে’র প্রেজেন্টার উর্মি মাযহার, বিবিসির বাংলার সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট ড: রেনু লুতফা, ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক সাংবাদিক শামিম চৌধুরী,সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন,সাপ্তাহিক জনমতের বার্তা সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন,সত্যবানী সম্পাদক সৈয়দ আনাস পাশা, সানরাইজ রেডিও প্রেজেন্টার মিসবাহ জামাল,টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়রের পলিটিক্যাল এডভাইজার সাংবাদিক সৈয়দ মনসুর উদ্দিন, নিউজ প্রেজেন্টার ও কাউন্সিলার সৈয়দা সায়মা আহমদ, ই-সাউথ এশিয়া এডিটর বুলবুল আহমদ,সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, চ্যানেল এসের কারেন্ট এফেয়ার্স এডিটর তানভীর আহমেদ, প্রবীন সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, দৈনিক প্রথম আলোর লন্ডন প্রতিনিধি তবারুকুল ইসলাম, এটিএন বাংলা নিউজ-এর প্রধান মোস্তাক বাবুল, এটিএন নিউজ প্রেজেন্টার শওকত মাহমুদ,কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি জুয়ের রাজ, বাংলা টিভি ও আইওন টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মুরাদ চৌধুরী, টিভি ওয়ানের সিনিয়র রিপোর্টার জাকির হোসেন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তারা রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতন ও হয়রানীর সুষ্টু তদন্ত্মের জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবী জানান। লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সেখানে তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের যে ছবি এবং ভিডিও দেখা গেছে তা একটি সরকারের সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ এবং পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর যে তথ্য চুরির অভিযোগ আনা হচ্ছে, এটা একটা অনুসন্ধানী সাংবাদিকের খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দূর্নীতি এবং অনিয়মের বিরম্নদ্ধে একাধিক আলোচিত প্রতিবেদন করেছেন এবং তার পত্রিকায় ফলাও করে তা ছাপা হয়েছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য বলে আমরা মনে করি।

বক্তার আরো বলেন, রোজিনা ইসলামকে যেভাবে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়েছে, গলা চেপে ধরা হয়েছে তা স্বাধীন গণমাধ্যম ও সঠিক তথ্য প্রবাহের জন্য বড় বাধা। এমন ঘটনা স্বাধীন গনমাধ্যমের জন্য হুমকী। উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং তাকে এমন এক কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে যা নিয়ে তিনি তিন মাস আগে রিপোট করেছেন। এটি হতাশাজনক ঘটনা।

এতে আরো অংশ নেন, ক্লাবের কমিউনিক্যাশন্স সেক্রেটারী ও জাস্ট বিডি সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, আইটি সেক্রেটারী ও বাংলা পোষ্টের প্রডাকশন এডিটর সালেহ আহমদ, ইভেন্ট সেক্রেটারী ব্রিট বাংলার কমিউনিটি এডিটর রেজাউল করিম মৃধা, দুই ইসি মেম্বার যথাক্রমে ম্যাক্স মিডিয়ার মিডিয়া এন্ড কমিউনিক্যাশন্স এডিটর রুপি আমিন ও নতুন দিন অনলাইনের ম্যানেজিং এডিটর পলি রহমান, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, লন্ডন বাংলার প্রধান সম্পাদক আবদুল মুনিম জাহিদি ক্যারল, দ্য এডিটর সম্পাদক আহাদ চৌধুরী বাবু, চ্যানেল এস প্রডিউসার আহাদ আহমদ , সাপ্তাহিক সংলাপ-এর বার্তা সম্পাদক সাজু আহমদ, এস এ টিভির প্রতিনিধি হেফাজুল করিম রাকিব, সানরাইজ টুডে-এর এনাম চৌধুরী, টিভি ওয়ানের প্রেজেন্টার আমিমুল ইসলাম তামিম, ৫২ বাংলার আনোয়ারউল ইসলাম ওভি,আইওন টিভির প্রেজেন্টার মিনহাজ খান, এলবি টিভির আলাউর রহমান শাহিন, দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধি মাববুব আলী খানসুর, সাংবাদিক সারোয়ার হোসেন ও সংস্কৃতি কর্মী স্মৃতি আজাদ।