Main Menu

লীডস শহরে সৈয়দ কুতুব রুকন (রঃ) গোত্রের মিলনমেলা

“ রুপ দেখিলাম রে নয়নে; আপনার রুপ দেখিলাম রে, আমার মাঝ তো বাহির হইয়া দেখা দিল আমারে । আপনার রুপ দেখিলাম রে । “

মরমি কবি হাসন রাজা কি সুন্দর করে পংতি গুলো সাজিয়েছেন। জানিনা তিনি কুন রুপ, বা কার রুপ দেখেছিলেন । কিন্তু আমি যে রূপ গত ৫ জুলাই ২০২১ তারিখে লীডস শহরে সৈয়দ কুতুব রুকন গোত্রের মিলনমেলায় দেখলাম, তার অনুভূতিটাই ছিল আভিভুত হওয়ার মত । ভাই সৈয়দ দিদার হুসেন, সৈয়দ শুয়েব আহমেদ, সৈয়দ জাবির আহমেদ, সৈয়দ কাম্রুল ইসলাম , মামা সৈয়দ কবির আহমেদ, মামা সৈয়দ শানুর আহমেদ, – উনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্দুগের ফসল ছিল ঐ মিলন মেলা ।

আমি জানি, সময় সল্পতার কারণে বেশির ভাগই কাজে থেকে ছুটি নিতে পারে নাই , বিধায় অংশ নিতে পারেন নাই । তবে তারা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন; এবং, পরবর্তী তে অবশ্যই যোগ দিবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন । আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়জনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল যে , কয়েকটি পারিবারিক আত্মীয়ের সমষ্টির কুশল বিনিময়, খাওয়া দাওয়ার সাথে কিছু কিছু গিতি কিচ্ছার টক – ঝাল – মিষ্টি ইত্যাদির স্বাদ নেওয়া । কিন্তু পরবর্তীতে মামা সৈয়দ কবির আহমেদ ও মামা সৈয়দ শানুর আহমেদ এর উপদেশ এর ভিত্তিতে সেই স্বল্প আয়জনের উদ্দুগ টি এই গুত্রিয় মিলন মেলায় রুপ নেয় ।

আল্লাহ্‌ যদি কুনো কিছু সঙ্ঘটিত করার ইচ্ছা করেন , তবে তিনি তার অনুকুলে সকল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেন ; এবং, তা ঘটিত হয়ে যায় । তাই, আল্লাহ্‌র দরবারে অশেষ শুকরগুজার তিনি আমদের বংশের সকলকে সঙ্ঘটিত হওয়ার পরিবেশ তৈরী করে দিয়েছেন । চারটি বাড়ির অসংখ্য পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ছিল খুবই আন্তরিক ও প্রাণোচ্ছল । এই উপস্থিতিকে প্রানবন্ত করতে আমরা চাইলাম যে , একে একটি অনুষ্ঠানে রুপ দেওয়া হউক । তাই , সাজানু হল যে , প্রথমেই আমদের মরহুম সৈয়দ রব্বানি চাচার বড় ছেলে মাওলানা সৈয়দ রাহনুম পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করবে; এবং আমদের মুরুব্বি সৈয়দ সালেক মিয়া চাচাকে সভাপতি নির্দিষ্ট করে আরও অন্ন্য সকল মুরুব্বি তথা সৈয়দ আলী আহমেদ চাচা, সৈয়দ আলী আসকর চাচা, সৈয়দ আমিরুল ইসলাম চাচা, সৈয়দ শেখুল ইসলাম চাচা, সৈয়দ মুহিবুল ইসলাম চাচা, সৈয়দ আজিজুর রহমান চাচা, সৈয়দ কবির আহমেদ মামা, , সৈয়দ হুসেন আহমেদ চাচা, , সৈয়দ মুকরামিন আহমেদ চাচা ও সৈয়দ মুতমাঈন আহমেদ চাচা – উনাদের কে এক সারিতে সমন্বয় করে অনুষ্ঠান শুরু হল । কিন্তু, এখানে একটি বেতিক্রম রুপের প্রকাশ ঘটলো; আমদের নির্দিষ্টকৃত সভাপতি সৈয়দ সালেক মিয়া চাচা, তিনি মামা সৈয়দ কবির আহমেদ কে শুধুমাত্র উনার বংশ সম্পর্কে চাচা হওয়ার কারণে প্রায় বিশ বছরের ছুটো হওয়া সত্ত্বেও সকলের সম্মতিক্রমে উনার সভাপতিত্ব সৈয়দ কবির আহমেদ কে অর্পণ করে দিয়ে এক অনন্য উদাহরন স্থাপন করলেন – যার ভূয়সী প্রশংসা সৈয়দ কবির আহমেদ মামা অতি বিনয় চিত্তে সবার কাছে অনুকরণীয় হিসাবে তুলে ধরলেন ।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায় শুরু হল পারষ্পরিক পরিচিতি পর্বের মধ্যে দিয়ে । অতঃপর আমরা উপস্থিত মুরুব্বিগনের কাছ থেকে আমদের কুতুব রুকন এর সিলসিলা আজ অবধি পর্যন্ত জানতে চেষ্টা করি; এবং অনেক কিছু জানতেও পারি । অমূল্য ঐ তথ্য গুলো আগামিতে আমদের সকলের প্রচেষ্টায় হয়ত সবার কাছে লিপিবদ্ধ আকারে পৌঁছিয়ে দিতে অনেক সহায়ক ভুমিকা রাখতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ । এরপর, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলাপ হল – যা একের পর এক আগামিতে প্রাধান্ন্য অনুযায়ী কাজে রূপান্তরিত করা হবে । পরিশেষে সৈয়দ তামিম আদনানের ঐকান্তিক মুনাজাতের মাধ্যমে সভাপতি সৈয়দ কবির আহমেদ মামা সবাইকে নৈশ ভুজের আমন্ত্রন দিয়ে সভার সমাপ্তি টানেন ।

আমি সৈয়দ শাহ শামসুদ্দিন (রঃ) এর বংশ ধারা তথা সৈয়দপুর গ্রামের সকল বংশ ও গোত্রের মরহুমদের আত্মার শান্তি, এবং জান্নাতুল ফেরদাউস দানের জন্য আল্লাহের দরগাহে করজুরে প্রার্থনা জানাই । সৈয়দপুর গ্রামের সকল বংশ ও গুত্রের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল, সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াতের দুয়া জানাই । আল্লাহ্‌ আমাদের সৈয়দ কুতুব রুকন গোত্রের বংশ ধারাকে ঈমান, আমল ও একতার ছায়াতলে কেয়ামত পর্যন্ত আবাদ রাখুন। আমীন ।