মোদীকে আক্রমণাত্মক চিঠি লেখায় ৫০ বুদ্ধিজীবির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের


ভারতজুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বছর জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন এই ৫০ বিশিষ্টজন। প্রধানমন্ত্রীকে বিশিষ্টদের এই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে মুজফ্ফরপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিষ্ট্রেট সূর্যকান্ত তিওয়ারির কাছে মাস দুয়েক আগে একটি পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী সুধীরকুমার ওঝা। সেই পিটিশনের ভিত্তিতে গত ২০ অগস্ট একটি নির্দেশ দেন সিজেএম সূর্যকান্ত তিওয়ারি। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বৃহস্পতিবার সদর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেছেন সুধীর। দ্য হিন্দু
এই বিশিষ্টব্যক্তিদের মদ্যে রয়েছেন, ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ, অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন, মনিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এই এফআইআর নিয়ে সুধীর বলেছেন, ‘আমার পিটিশন গ্রহণ করে সিজেএম গত ২০ অগস্ট একটি নির্দেশ দেন। সেই সূত্র ধরেই আজ সদর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা দেশের মানুষকে কলঙ্কিত করতে চেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টাকে খাটো করে দেখাতে চেয়েছেন।’ ওই চিঠির মাধ্যমে বিশিষ্টদের বিচ্ছিন্নতাকামী মানসিকতাও ফুটে উঠেছে বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী।
এফআরআই দায়েরের পর, মোদী সরকারের আমলে দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হতে চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জেলে পুরে দেয়া হচ্ছে। এ মুহূর্তে দেশে কী চলছে, সে ব্যাপারে প্রত্যেকেই অবগত। কোনও গোপনীয়তা নেই। এমনকি গোটা বিশ্বও জেনে গিয়েছে। ক্রমশ স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বললে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আজকাল জেলে পুরে দেয়া হয়। পড়তে হয় হামলার মুখেও। গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও।’