Main Menu

ফেসবুকে ছদ্মনাম এবং আত্মপরিচয় সংকট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্ন পরিচয়ে নিজের পরিচিতি তুলে ধরা বা নিজেকে অন্যভাবে পরিচয় করার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? আপনি যদি নিজেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করতে চান, তাহলে এখানে লুকোচুরির কি আছে? চলুন বিষয়টা নিয়ে আলোকপাত করা যাক।

প্রায়ই দেখা যায়, সামাজিক মাধ্যমে নিজের নামকে আড়াল করে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কাউকে কাউকে দেখা যায় পরিবারের ছোট ছেলে মেয়ের পরিচয়ে একাউন্ট খুলতে। বিশেষ করে বাংলায় আমি অনেকগুলি নামের একাউন্ট দেখেছি, যেগুলি সাধারণত মানুষের নাম হয় না। স্বপ্নীল আকাশ, রংধনু সাতরং, মেঘলা আকাশ, নীল আকাশ, নিঝুম রাত, সাগরের ঢেউ, টুপুরটাপুর বৃস্টি, সন্ধ্যা রাত, সাজানো বাগান, বসন্ত বাতাস, বাংলার বাঘ, নিঝুম রাতের পাখি, নিশি রাতের তারা, ঝিনুক পাখি, শক্তের ভক্ত, প্রজাপতি মন, ভোরের পাখি, মন পাখি, পোড়া মন, প্রেমের নাম বেদনা, ইত্যাদি নামে ফেসবুকে একাউন্ড দেখেছি।

কারা নিজের পরিচয় দিতে ভয় পায়? যারা চুর, ডাকাত, অনৈতিক কাজে লিপ্ত, সমাজে যাদের কোন কারণে মুখ দেখাতে লজ্জার কারণ আছে, অথবা যাদের কোন দূরভিসন্ধি আছে তারাই।

আপনি যদি এই সব গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকেন, তাহলে কেন নিজেকে আড়াল করে বা ছদ্মনাম ব্যাবহার করে সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবেন।

যারা ছোট ছেলে মেয়েদের নাম ব্যবহার করেন, তাদের উদ্দেশ্য কী বুঝা মুশকিল। বাচ্চাদের নামে যদি আপনার একাউন্ট হয়, তাহলে নিজে যখন সামাজিক মাধ্যমে অন্য আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করবেন, তখন আপনার সম্মোধনটা কীরকম হবে? একটু চিন্তা করে দেখুন তো।

এখানে বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে আমি লিখছিনা। আমি কেবল সমাজে চালু হওয়া অসঙ্গতি তুলে ধরছি, যা কাম্য নয়। আমি মনে করি এটা একটা আত্মপরিচয় সংকট ও হীনমন্যতা।

আশা করি ছদ্মনাম ব্যবহারকারীদের সুমতি হবে।

শোয়েব চৌধুরী : যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক