Main Menu

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এলো ১০৬ কোটি ডলার

চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসীদের পাঠানো ১০৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আগের অর্থ বছরের নভেম্বরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১২৬ কোটি ডলার। বছরের ব্যবধানে এভাবেই কমে এসেছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে সেগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ২১ কোটি ৯২ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

এদিকে, চলতি অর্থ বছরের অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা ছিল সতের মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫০ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার। এরপর থেকে এতো কম রেমিট্যান্স আসেনি। রেমিট্যান্সের নিম্নগতি নভেম্বরেও থাকবে বলে মনে করছেন এ খাতের বিশ্লেষকরা। তাদের ধারণা, নভেম্বর শেষে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৬৫ থেকে ১৭০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, এখন যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে এটাই সঠিক। করোনার সময় প্রবাসীরা জমানো অর্থ দেশে পাঠানোর কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক প্রবাসী কাজ হারিয়েছে, অনেকে দেশে ফেরত এসেছে। তাছাড়া যারা প্রবাসে আছে তাদের খরচ বেড়েছে, ওভারটাইম কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ ফের সঠিক জায়গায় ফিরে এসেছে।

রেমিট্যান্সের নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, করোনা কিছুটা কমে আসার পর অনেকেই অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা অনেকটা কমে গেছে। করোনা মহামারির পর প্রবাসীদের আয়ও কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে বলে মনে করছেন তারা।

এবারও রেমিট্যান্স আসা শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে রয়েছে- সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, ইতালি ও বাহরাইন।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) রেমিট্যান্স এসেছে ৭০৫ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে ১৭৬ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। আগে ২০২০-২১ অর্থ বছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৮৮১ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।