Main Menu

চুক্তিতে ওয়াজ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

যেসব আলেম চুক্তিতে ওয়াজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন।

তিনি বলেছেন, আমরা বছর শেষে অপেক্ষা করি ভালো একজন ইসলামী বক্তা এলাকায় অথবা মাদ্রাসায় এনে তার ওয়াজ জনগণ শুনবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ওয়েজিনদের দাওয়াত করতে গেলে তারা যে টাকা আবদার করে সে কারণে তাদের মহল্লায় আনা সম্ভব হয় না।

রোববার পার্টির এক জরুরি সভায় মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ছোটখাট মাদ্রাসায় তো প্রশ্নই আসে না। বহু মাদ্রাসায় অতীতে দেখা গেছে ছোট ছোট কোমল ছেলেরা অল্প কিছু টাকার জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাতে। এটি অমানবিক ও ছাত্রদের ওপরে জুলুম সম্পূর্ণরূপে হারাম। অনেক ছোট ছোট মাদ্রাসার ছাত্ররা এই ওয়াজ মাহফিলের কালেকশন করতে গিয়ে মারাও গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, শিক্ষকরা সব সময় ওয়েজিনের টাকা জোগাড় করার জন্য পেরেশানি অবস্থায় সময় কাটায়। তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাই আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলবো, ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা তৈরি করে যেন দেশের সকল প্রশাসনের নিকট পাঠিয়ে দেয়- যাতে করে কোন বক্তা চুক্তির মাধ্যমে ওয়াজ করতে না পারে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মাওলানা শাহ্ ওমর ফারুক, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা কাজী আব্দুল কাইয়ুম, কারী মো. আলী হায়দার, মাওলানা মো. শহীদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ প্রমূখ।