Main Menu

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের করে ভিডিও ধারণ, শিক্ষক আটক

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার গোপিনাথপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সময় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার (২২ মার্চ) লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা দায়েরের পর আশরাফুজ্জামান রানা (৩২) নামে ওই গৃহশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ মার্চ) বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষক রানা নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ অক্টোবর লোহাগড়া পৌরসভার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামান শেখের ছেলে গৃহশিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানার বাড়িতে প্রতিদিনের মতো প্রতিবেশী এক কলেজছাত্রী (১৭) প্রাইভেট পড়তে যায়। ওই দিন শিক্ষকের বাড়ি ফাকা থাকায় সে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং গোপনে ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তার কাছ থেকে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নেয়।

এ দিকে পারিবারিক সম্মতিতে পার্শ্ববর্তী ধোপাদাহ গ্রামে এক ছেলের সঙ্গে গত রবিবার ওই ছাত্রীর বিয়ের দিন ঠিক হলে বিয়ের একদিন আগে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক রানা পাত্রপক্ষের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের ভিডিও দেখায়। এক পর্যায়ে তাদের বিয়ে ভেঙ্গে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি নির্যাতনের শিকার ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়।

সোমবার সকালে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। লোহাগড়া থানার এসআই সাইফুল ইসলাম সোমবার রানাকে আটক করে এবং তার কাছে থাকা ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, সোমবার বিকালে অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান রানা নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। একই আদালতে সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।